সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ মোঃ হাসিবুল হাসান হাবীব

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ

মোঃ হাসিবুল হাসান হাবীব
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় – তার পরিচয় নিয়ে বলার কিছু নাই । আমি শুধু কিছু ব্যাপার ব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে চাই তা হল বাংলাদেশের প্রতি তার অবদান । কাদার মধ্যে থেকেও গায়ে কাদা না লাগিয়ে পথ চলেছেন তিনি । তার মা তাকে রাজনীতি থেকে বহুদূরে রেখে দেশের জন্য কাজ করার জন্যে তাকে তৈরী করেছেন । সবসময় বলেছেন তোমরা সবসময় মনে রাখবা তোমরা কার নাতী । ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের একটা স্বপ্নের নাম । সেই স্বপ্নকে পুরনের জন্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জয় ।

জয় বলেন – কারও দুর্নীতি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন আমার নেই। নিজেকে সব ধরনের অপবাদমুক্ত রাখতেই আমি দেশের সকল কার্যক্রম থেকে দূরে থাকি।

ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কর্মীদের নিয়ে ধারাবাহিক লেখার ইচছা ছিল । সেই ইচ্ছা থেকে জয় কে দিয়ে এই লেখা শুরু করলাম । ব্যক ক্যাল্কুলেশন অব ডিজিটাল বাংলাদেশ । এইটা পার্ট ওয়ান । অনেক জায়গা থেকে অনেক ইনফো নিছি কিন্তু এইটা তো ব্লগ রিসার্চ পেপার না তাই আর অত ফাইন টিউনিং এ যাই নাই ।

ব্যঙ্গালরের সেন্ট জোসেফ থেকে কম্পিঊটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করেন ম্যাথ এবং ফিজক্স সহ । তার পর টেক্সাস ইউনিভার্সিটি । তার পর হার্ভাড – ইনোভেশন ইন গভর্নেন্স ।

জয় কাজ করে যাচ্ছেন মুলত আডভাইস করে ।

শেখ হাসিনাকে আডভাইস করে । ১৯৯৬ সাল থেকেই । জয়ই বাংলাদেশে কম্পিঊটারের ব্যাবসায় ট্যাক্স ফ্রি করার প্রস্তাব দেন ১৯৯৬ এই । আজও আমরা সেই সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছি ।

কমিউনিকেশন এবংকানেক্টিভিটির মাধ্যমে দেশেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে সজীব প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন বাংলাদেশ কে সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত করার এবং ১৯৯৬ এ আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই এই কাজটি করার প্রস্তাব দেন এবং সরকার তা করেও ।

কিন্তু গত পৌনে তিন বছরে জয় যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে । বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম যৌথভাবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করে। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন ,

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। আর এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য । সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সিষ্টেম তৈরির ফলে দেশের মানুষ লাভবান হবে। জীবন ধারার পরিবর্তন হবে। দেশে টেন্ডারবাজি থাকবে না, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকার সব রকমের সাহায্য-সহায়তা করবে ।

বঙ্গবন্ধু পরিবার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। আমাদের শিক্ষা আছে, মেধা আছে। মেধা খাটিয়েই আমরা অঢেল অর্থ উপার্জন করতে পারি। তাই দেশের সম্পদ চুরি করার প্রয়োজন নেই।

সজীব আহমেদ চান যে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে যাক । গ্রামের মানুষের হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌছে যাক । এখন অনেক কিছুই কি হচ্ছেনা যা ৩ বছর আগেও মানুষ ভাবেনি ??

আডমিশন ফরম কালেক্ট থেকে শুরু করে সরকারের সমস্ত ফর্ম এখন অনলাইনে আছে । এবং তা অনলাইনে পূরন করে জমা দেবার ও সুবিধা আছে । মোবাইল ইন্টারনেট – কি না করেছে , মোবাইল ব্যাঙ্কিং পর্যন্ত এখন বাংলাদেশে হচ্ছে ।টেন্ডার জমা দেয়া , স্বাস্থ্য সেবা , ক্রিষি সেবা , মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ,এটিএম মেশিন ,কল সেন্টার – এ সবের মূলেই রয়েছে একটা স্বপ্ন এবং তার পেছনে নিঃস্বার্থ এবং নিরলস পরিশ্রম । সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন । বাংলাদেশে এখন একটা আইটি পার্ক আছে ।

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের আডভাইসে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । শুধু মাত্র কলসেন্টারে এখন ৪০০০ এর বেশী ছেলে মেয়েরা কাজ করছে । বিদ্যুৎ ঘাটতি আরো কমে এলেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের থেকে সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে কলসেন্টার খাতটি । এইবারই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ৫২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে । ঢাকা সহ সারা দেশের কনষ্ট্রাকশনের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি এনশিঊর করার জন্যেও জয় কাজ করে যাচ্ছেন ।

শিশু স্বাস্থ্য ও মৃত্যুহার কমিয়ে আনার সাফল্যে গত বছর জাতিসংঘে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট পুরস্কার গ্রহনের কথা উল্লেখ করে বলেন —

আমরা মনে করি শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মায়ের সুস্বাস্থ ও যত্ন দরকার । এ জন্যে দেশের ১১ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিককে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে । এটি অত্যান্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে আমরা আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির কাজের স্বীক্রিতী পেয়েছি । এই স্বীক্বিতী আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরনা যোগাবে ।

এইসব আওয়ার্ড সজীব আহমেদ ওয়াজেদের কারনেই সম্ভব হয়েছে ।

জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে আমি আমার মা’কে বুদ্ধি পরামর্শ দেই। আমি বিদেশে বসবাস করি। তাই এসব কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকারের সঙ্গে যারা আছেন, তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করেন।

১৯শে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যে সাউথ সাউথ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । জাতিসংঘ ইকনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা ,আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ নিউজ যৌথভাবে আয়োজন করে পুরস্কার দেয় এবং এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: ‘ ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট ” ।

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সেক্রেটারী জেনারেল ডঃ হামদুন টোরে নিউইয়র্কের ওয়ালডর্ফ এষ্টোরিয়া হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন । পুরুস্কার গ্রহন করে শেখ হাসিনা বলেন — “এটি বংলাদেশের জনগণ ও সরকারের কঠোর পরিশ্রমের স্বীক্রিতি । বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার করেছে । মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ও যক্ষারোগের চিকিতসা দেওয়া হচ্ছে ।”

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন —

ডিজিটাল বংলাদেশের পরিকল্পনা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে । যে গতিতে উন্নয়ন ঘটছে তা কেঊ কল্পনাও করতে পারেননি । এর সুফল হিসেবে সাউথ সাউথ এওয়ার্ড মিলেছে । বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ গ্রেডে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করেছে ,যা ইতিহাসে প্রথম । বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিদ্যুৎ উতপাদন ৫২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে । দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সরকার সারা দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । ২৬ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে । আরো ৩৪ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে । এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগামি বছরের মধ্যেই চালু হবে । ২০১২ সালে বিদ্যুৎ সেক্টর দেশের চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উদ্ব্বত্ব বিদ্যুৎ উতপাদনে সক্ষম হবে ।

দেশে এখন রয়েছে যানজট , তবে বর্তমান সরকার যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলছে । ইতিমধ্যেই ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ব্রিজ ,ওভারপাস ,বাইপাস ,ঊড়ালসেতু ,হাইওয়ে সম্প্রসারনের কাজ যেভাবে শুরু করেছে সরকার, যানজট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারলে যানজট সমস্যার দ্রুত নিষ্পন্ন সম্ভব ।

অত্যন্ত ম্যাচ্যুউর বক্তব্য । সে এখন পুরো তৈরী বাংলাদেশকে নেত্রিত্ব দিতে । শুধু ডেভেলপমেন্ট এক্টিভিজ ছারাও পলিটিক্যালি সে এখন অনেক ম্যাচিওর । এই তো সেদিন ছাত্রলীগের ২৭তম কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন:

ছাত্রলীগ এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি বলেই আমাদের সুযোগ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।

তিনি আরো বলেন -

আমি এসেছি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে। সারাদেশ থেকে যে ডেলিগেট ভাইরা এসেছেন তাদেরকে ভালবাসা জানাতে। অতীতে ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। দেশের মানুষও এই সংগঠন থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে।

তার হার্ভাড গ্র্যাজুয়েশন শেষে সনদ বিতরন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন –

আমার মা’র স্বপ্ন ছিল হার্ভার্ড থেকে আমি গ্রাজুয়েশন করি। তাঁর এই স্বপ্ন পূরনে সফল হতে পেরে ধন্য মনে করছি। এছাড়াও আরো অনেক কিছুই করার আছে। তার সবটাই চেষ্টা করবো পূরন করতে।

গনতান্ত্রিক বাংলাদেশে সুখের অনুভুতি প্রতিটি মানুষকে স্পর্শ করুক। সুন্দর ভবিস্যত নির্মানে ভোরের সূর্য কিরণে অবগাহিত হোক বাংলাদেশ। ধুয়েমুছে সাফ হোক অন্যায় অসত্য আর মিথ্যাচার। প্রতিষ্ঠিত হোক গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই সময়ে এটাই আমার প্রত্যাশা।

ধন্যবাদ জানাই জয় ভাইকে । তার নিরলস নিস্বার্থ কাজ এগিয়ে যাক , এগিয়ে যাক বাংলাদেশ । এমন অনেক কিছুই আরো এদেশের মানুষ পাক , যা আগে কেউ কখন ভাবেও নি । আমার বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সোনার বাংলাদেশ ।

জয় বাংলা ।

ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড:
ডিজিটাল বাংলাদেশ, সজীব ওয়াজেদ জয়

Biography of Deshratna Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

Sheikh Hasina (Bengali: 

শেখ হাসিনা Shekh Hasina)

(born September 28, 1947) is a Bangladeshi politician and current Prime Minister of Bangladesh.^[1] She has been the President of the Awami League, a major political party, since 1981. She is the eldest of five children ofSheikh Mujibur Rahman, the founding father (and first president) of Bangladesh and widow of a reputed nuclear scientist, M. A. Wazed Miah. Sheikh Hasina's party defeated the BNP-led Four-Party Alliance in the 2008 parliamentary elections, thus assuring her of the post of prime minister. Sheikh Hasina has once before held the office, from 1996 to 2001.

Early life

Sheikh Hasina's political career started as a student activist in Eden College in the 1960s. While at College, she was elected vice president of the College Students Union for the term 1966–67. Her opponent was the leftist student leader Matia Chowdhary, who much later joined Awami League and became a member of Hasina's cabinet.

At the University of Dhaka Sheikh Hasina was a member of the Chhatra League (the student wing of Awami League) and secretary of its Rokeya Hall unit. During the liberation war in 1971, Hasina, then a young mother, was held under house arrest with her mother, brothers, sister and her son. Sheikh Mujibur Rahman was imprisoned in West Pakistan during this period. After liberation, Hasina's involvement in politics was minimal as Sheikh Kamal, her brother, was touted as Mujib's successor.

Member of the National Assembly

Her political and personal destiny was irrevocably altered on the fateful night of August 15, 1975, when her father and almost her entire family, including her mother and three brothers, wasassassinated in a coup d'état by a section of disgruntled officers of the Bangladesh Army, some of whom were freedom fighters during 1971. Sheikh Hasina and her sister, Sheikh Rehana were on a goodwill tour of West Germany at that time. Hasina then sought refuge in United Kingdom and later, in India. She lived in exile in New Delhi, India, until May 17, 1981, when she was allowed to return to Bangladesh.

Movement against autocracy

While living in self-exile in India, Sheikh Hasina was elected President of Bangladesh Awami League in 1981. After she returned to the country, President Ziaur Rahman was assassinated in yet another coup in May, 1981. The following year, General Hossain Mohammad Ershad captured power through a bloodless coup and declared martial law. In 1983, Hasina formed the 15-party alliance to launch a movement to oust him from power. She was in and out of detention throughout the 1980s. Her party, along with the Bangladesh Nationalist Party, led by Ziaur Rahman's widow Khaleda Zia, was instrumental in the movement against the military rule. In 1984, Hasina was put underhouse arrest in February and then again in November. In March 1985, she was put under house arrest for three months.

In 1990, Hasina's 8-party alliance was instrumental along with another BNP-led alliance in finally removing the Ershad regime.

Under the leadership of Sheikh Hasina, Awami League formed an alliance with Ershad's Jatiya Party in 1991.

Leader of the opposition

Sheikh Hasina and her party Awami League participated in the 1986 Parliamentary elections held under President Lieutenant-GeneralHossain Mohammad Ershad. She served as the leader of the opposition in 1986–1987. Hasina's decision to take part in the election has been criticized by her opponents, since the election was held under dictatorial rule. Her supporters maintain that she used the platform effectively to challenge Ershad's rule. The parliament was dissolved in December 1987. Being the leader of the opposition Sheikh Hasina always pushed the govt. to render accountability and transparency in all spehere of life cricizing the activities of the cabinet.

The first democratic elections were held in 1991 after a long period of military rule. A caretaker government, headed by Shahabuddin Ahmed, the outgoing chief justice, oversaw the elections. The Bangladesh Nationalist Party won the election, and Hasina's Awami League emerged as the largest opposition party. Hasina was defeated in the Dhaka constituency that she contested by Sadeque Hossain Khoka, later Mayor of Dhaka, but was elected to the Parliament from her home constituency in Gopalganj. Hasina accused the BNP of "nuanced rigging" in elections. Hasina, nevertheless, offered to resign as the party president but later stayed on at the request of party leaders. Khaleda Zia of the BNP took office as the first female Prime Minister of Bangladesh.

Politics in Bangladesh took a decisive turn in 1994, after Magura by-elections. This election was held after the MP for that constituency, a member of Hasina's party, died. The Awami League was expected to win it back, but the seat was won by the BNP. The opposition parties accused the BNP of widespread rigging and the election commission of incompetence. The Awami League, with other opposition parties, demanded that the next general elections be held under a caretaker government, and that the notion of a caretaker government be incorporated in the constitution. The ruling party of Khaleda Zia, Hasina's arch rival, refused to give in to these demands.

Opposition parties launched an unprecedented campaign, calling strikes for weeks on end. The government accused them of destroying theeconomy while the opposition countered that BNP could solve this problem by acceding to their demands. In late 1995, the MPs of the Awami League and other parties lost their seats due to prolonged absence from parliament. The government declared elections on February 15, 1996, an election that was boycotted by all major parties except the ruling BNP. Hasina claimed that the election was a farce. The elected parliament, composed mostly of BNP members, finally amended the constitution to create provisions for a caretaker government. The next parliamentary elections were held under a caretaker government headed by Justice Muhammad Habibur Rahman on June 30, 1996.

Prime minister

U.S. President Bill Clinton and Prime Minister Sheikh Hasina making a joint statement to the press following their bilateral meeting at the Prime Minister's office in Dhaka during Clinton's visit to Bangladesh in March 2000.

The Awami League won 146 seats in the 1996 parliamentary elections. The support of theJatiya Party and a few independent candidates were enough for the 150+ seats needed for the required majority. Hasina took the oath as Prime minister of Bangladesh. She vowed to create a Government of National Unity. Though some smaller parties and a few individuals from BNP did join the government, the distance between the main two political parties (as well as their leaders) remained as large as ever. Hasina did manage to convince Justice Shahabuddin Ahmed, who led the first caretaker government, to assume the post of President. This selection of an unbiased person as president was praised by her supporters as a proof of Hasina's goodwill to reach out to the opposition.

A major achievement of the new government was to strike a treaty between India and Bangladesh concerning the Farakka Barrage, a bone of contention between the two countries ever since it was built in the 1960s. According to the treaty, Bangladesh was to receive 33 thousand cubic feet per second (930 m³/s) of water. Hasina next went on to create a 'Peace Treaty' with the tribal rebels in the mountainous southeast of the country, thus seemingly solving a problem as old as Bangladesh itself. Though rebel activities have reduced greatly after the treaty, the region remains a hotbed of tension.

On the down side, the Awami League was criticized for harbouring gangsters turned politicians, most notably Jainal Hazari of Feni. Her government was also criticized for overusing Sheikh Mujibur Rahman—the country's founding leader and also father to Sheikh Hasina—in the media and naming many major public institutions and constructions after him. The Awami League maintained that previous governments had tried to systematically eradicate Sheikh Mujib's legacy from the country and that the honour he was getting was long overdue. The BNP also accused the Awami League of politicising the administration and state-owned media. Her party was also accused of being lenient towards India, especially after a shootout between border forces of India and Bangladesh left 16 Indian and 3 Bangladeshi border guards dead.

During the last year of her rule, Transparency International declared Bangladesh to be the most corrupt country in the world. Though Bangladesh had almost always been in the bottom five, the last position created an uproar and was seen by many as a major failure by Hasina. Though Hasina was voted out of office later, Bangladesh remained at the last position for some more years. The opposition demanded that Hasina resign and declare early elections, but Hasina refused to do so. She became the first democratically elected prime minister to complete her term.

Justice Latifur Rahman became the head of the caretaker government. Awami League alleged that he was biased towards BNP after he transferred a large number of civil servants immediately after taking office. Later, Hasina would also accuse President Shahabuddin Ahmedand election official Abu Sayeed of biased actions.

Landslide defeat (Election 2001)

See also: 2004 Dhaka grenade attack

The Awami League succumbed to a landslide defeat in the 2001 Parliament elections. It won only 62 seats in the Parliament, while the 'Four Party Alliance' led by the Bangladesh Nationalist Party won 234 seats, giving them a two-thirds majority in Parliament. Hasina herself was defeated in a constituency in Rangpur, which happened to contain her husband's hometown, but won in two other seats. Sheikh Hasina and the Awami League rejected the results, claiming that the election was rigged with the help of the President and the Caretaker government. However, the international community was largely satisfied with the elections and the 'Four Party Alliance' went on to form the government.

The Awami League has been irregular in attending the Parliament ever since. Hasina maintains that the ruling party didn't give the opposition enough time on the floor. In late 2003, the Awami League started its first major anti-government movement, culminating in the declaration by party general secretary Abdul Jolil that the government would fall before April 30, 2004. This failed to happen and was seen as a blow to the party and Hasina herself, who had implicitly supported Jalil.

In her second term in opposition, Hasina had to face assassination attempts against herself and killings of important party personnel. Ahsanullah Master, an MP, was killed in 2004. This was followed by a grenade attack on Hasina in Dhaka, resulting in the death of 21 party supporters, including party women's secretary Ivy Rahman. Finally, her ex finance minister Shah M S Kibria was killed in a grenade attack inSylhet.

In June 2005, the Awami League got a boost when AL-nominated incumbent mayor A.B.M. Mohiuddin Chowdhury won the important mayoralelection in Chittagong, the port city and second largest city in Bangladesh. This election was seen as a showdown between the opposition and the ruling party.

The planned January 22, 2007, elections were marred by controversy. The Awami League and its allies protested, saying that the elections would not be fair because of alleged bias by the caretaker government in favor of Khaleda Zia and the BNP. Hasina demanded that the head of the caretaker government, President Iajuddin Ahmed, step down and on January 3, 2007, she announced that the Awami League and its allies would boycott the elections. Later in the month a state of emergency was imposed, Ahmed stepped down, and the elections were postponed.

Extortion allegations and criminal charges

On April 9, 2007, it was announced that Bangladesh police were investigating extortion charges against Hasina. She was accused of forcing Bangladeshi businessman Tajul Islam Farooq to pay bribes before his company could build a power plant in 1998. Farooq said that he paid Hasina 30 million takas (US$441,000, or €383,211) to get his project approved by the government, according to a police official. On April 11, murder charges were filed against her by the police, alleging that she masterminded the killing of four supporters of a rival political party in October 2006. The four alleged victims were beaten to death during clashes between the Awami League and rival party activists. Deputy police commissioner, Shahidul Haq Bhuiyan said "detective branch police submitted the charge-sheet of the case to a Dhaka court today after carrying out investigations and taking evidence." She was visiting the United States at the time.

The interim administration subsequently took steps to prevent Hasina's return to Bangladesh, with The New Nation newspaper reporting on April 17 that airlines had been asked not to allow her to return to Dhaka. She had been planning to return on April 23. On April 18, the government barred Hasina from her planned return, saying that she had made provocative statements and that her return could cause disorder. This was described as a temporary measure. Hasina vowed to return home anyway, and on April 22, a warrant was issued by a Bangladeshi court for her arrest. On the same day, Hasina attempted to board a flight back to Bangladesh in London but was not allowed on the flight.^[  Labelling the case against her as "totally false and fake", Hasina said that she wanted to defend herself against the charges in court. On April 23, the arrest warrant was suspended and on April 25 the ban on Hasina's entry into the country was dropped. With her rival Khaleda Zia being pressured to go into exile at the same time, the government's actions against Hasina appeared to be an attempt to restructure the political system rather than an attempt to support her rival.

After spending 51 days in the United States and the UK, at 4:45 p.m. on 7 May 2007 Sheikh Hasina arrived at Airport in Dhaka, where she was greeted by a jubilant crowd of several thousands. At the airport Hasina told reporters that it was a mistake for the government to stop her from returning and that she hoped it would not make a bigger mistake", while acknowledging that its reversal was a positive gesture

July 2007 arrest

On July 16, 2007, Hasina was arrested by state police at her home and taken before a local court in Dhaka.^[15] She was accused of extortion and denied bail on the same day, and was held in a building converted into a jail on the premises of the National Parliament. According to the Awami League, the arrest was politically motivated. On July 17, the Anti-Corruption Commission sent a notice to Hasina, along with Zia, requesting that details of her assets be submitted to the Commission within one week. Hasina's son Sajeeb Wazed Joy stated that the caretaker government were going beyond their limits, saying he did not plan to return to Bangladesh immediately but would try to organize worldwide protest. The arrest was widely seen as move by the military-backed interim government to force Sheikh Hasina from Bangladesh into political exile. Earlier attempts had been made to bar her from coming back to Bangladesh. United Kingdom MPs condemned the arrest. On July 30, the Dhaka High Court suspended the extortion trial of her and ordered her release on bail. On September 2, an additional case was filed against Hasina by the Anti-Corruption Commission regarding the awarding of a contract for the construction of a power plant in 1997, for which she allegedly took a bribe of 30 million takas and kept the contract from going to the lowest bidder; six others were also accused of involvement. This coincided with a case filed against Zia on the same day. On January 13, 2008, she was indicted by a special court along with two of her relatives, her sister Sheikh Rehana and her cousin Sheikh Selim, on extortion charges. On February 6, however, the High Court stopped the trial, ruling that she could not be prosecuted under emergency laws for alleged crimes committed prior to the imposition of the state of emergency. On June 11, 2008, Hasina was released on parole for medical reasons and the next day she flew to the United States to be treated for hearing impairment, eye problems and high blood pressure. Prof. Syed Modasser Ali, her personal physician, threatened to sue the caretaker government over negligence regarding Hasina's treatment during her detention.

Landslide victory (Election 2008)

Main article: Bangladeshi general election, 2008

Sheikh Hasina with David Cameron in London

On November 6, 2008, Hasina returned to Bangladesh to lead her party in general elections scheduled for December 29, 2008. On December 11, 2008 Sheikh Hasina announced her party's election manifesto during a news conference. In her election manifesto she vowed to build a "Digital Bangladesh" by 2021. Sheikh Hasina's Awami league won the elections on 29 December 2008 with an overwhelming majority. Sheikh Hasina's party defeated Begum Khaleda Zia's BNP in the 2008 Parliamentary Elections. Her party achieved a landslide victory reminiscent of the 1971 elections of Pakistan. Under her leadership, the party has achieved a supermajority in parliament, controlling 230 seats out of 299. She was sworn into office as the Prime Minister for the second time on 6 January 2009. The Prime Minister is the most powerful executive position in Bangladesh, although technically of lower seniority compared to the office of President. Begum Zia, however, rejected the results of the election, sarcastically thanking the Chief Election Commissioner "for stage-managing the parliamentary election" in a statement. But, according to the views expressed by foreign and local election observers, the general elections were free, fair and credible.