Monday, September 19, 2011

দুর্নীতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

দুর্নীতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে, বললেন শেখ হাসিনা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ | ২ আশ্বিন ১৪১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে তার মন্ত্রিত্ব থাকবে না। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'কেবল বক্তৃতা-বিবৃতি না দিয়ে কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আসুন। দুর্নীতির প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিস্তা চুক্তি 'সময়ের ব্যাপারমাত্র' উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে তিস্তা চুক্তি হলে বিরোধী দল দেশ বিক্রির ধুয়া তুলত। এখন আর তারা এ নিয়ে ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না।'

শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। বৈঠকে দলের সাংগঠনিক এবং দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্প্রতি পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতারা বেশ কয়েক মন্ত্রীর কাজের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কেউ কেউ শহীদ মিনারে অবস্থান ও নানা কথা বলে তোলপাড় সৃষ্টি করছেন। দুর্নীতির অভিযোগও আনছেন; কিন্তু কেবল বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে দুর্নীতির কথা বললেই হবে না। কারও মনে কোনো প্রশ্ন বা সংশয়-সন্দেহ থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য দিয়ে বলতে হবে কে কোথায় কীভাবে দুর্নীতি করেছে। কোন খাতে কতটা দুর্নীতি হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাতে হবে। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব থাকবে না।' চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এখন যারা দুর্নীতি নিয়ে এত কথা বলেন, তারা অতীতের দুর্নীতি নিয়ে তো কথা বলেন না।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে চুক্তি করেছিলেন। বলা হলো, সেটা দাসত্ব ও দেশ বিক্রির চুক্তি। এখন দেখা যাচ্ছে সেই ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়নই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সীমানা চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল সমস্যা সমাধানে যৌথ সমঝোতা স্মারক সই করেছি, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে তিনবিঘা করিডোরে ২৪ ঘণ্টা অবাধে যাতায়াতের সুযোগ ছিল না। আমরা এটা কার্যকর করেছি।
তিনি আরও বলেন, 'দেশ বেচার বদনামটা দেওয়া হয় আমাদের; কিন্তু বেচার সময় বেচে অন্যরা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ভারতের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে অবাধে প্রবেশের অধিকার দিয়েছেন; কিন্তু ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের কোনো সুযোগ ছিল না। আমরা এবার ৪৬টি বাংলাদেশি পণ্য ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পেরেছি।'
তিনি বলেন, ড. মনমোহন সিংয়ের সফরে যত চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে তাতে বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিস্তার পানি নিয়ে অনেকে তোলপাড় সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়ে আমরা একটি মধ্যবর্তী সমঝোতায় পেঁৗছতে চেষ্টা করেছিলাম। এবার আমরা পারিনি; কিন্তু প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। পানি এমন একটি জিনিস যেটা ওপর থেকে গড়িয়ে নিচে নামবেই। কেউ আটকে রাখতে পারবে না, আমরা পানি পাবই।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তিস্তা চুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ চুক্তি হবেই। তবে আমি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে চাই না। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমরা যা-ই করতাম না কেন, বিরোধী দল তা নিয়ে দেশ বিক্রির ধুয়া তুলত। এখন তারা এ ধরনের ইস্যু খুঁজ পাচ্ছে না।' শেখ হাসিনা বলেন, 'বিরোধী দলের এখন স্থায়ী এজেন্ডা দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা। এ দুর্নীতির কথা আমরা বলিনি। বিদেশি আদালত থেকে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্ট এবং সিঙ্গাপুর থেকে বলা হয়েছে কারা কীভাবে দুর্নীতি করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্তেই প্রমাণ মিলেছে কীভাবে কারা ঘুষ-দুর্নীতি করে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।'
শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণের সম্পদ লুট করেছে, মানি লন্ডারিং করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, তাদের বিচার হবেই। মানুষ আর বিভ্রান্ত হবে না, দুর্নীতিবাজদের তারা রক্ষা করতে পারবে না। আন্তর্জাতিকভাবে যারা দুর্নীতিবাজ হিসেবে স্বীকৃত, তাদের বিচার হবে।'  যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিঘি্নত করা বিরোধী দলের আরও একটি উদ্দেশ্য। যাদের তারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছে, বাড়ি-গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে, তাদের বিচার চায় না বিরোধী দল।' তিনি বলেন, 'এ বিচার অবশ্যই হবে। এটা চলমানও থাকবে। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা করে দিয়ে যাব, যাতে যুগ যুগ ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলতে থাকবে।'  আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তুলনা করে দেখলে বোঝা যাবে বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় যথেষ্ট ভালো। যখন কেউ যাচাই করে দেখবেন, তখন তুলনা করে দেখতে হবে।' সড়ক-মহাসড়কের সাম্প্রতিক দুরবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অতীতের সরকারগুলো সড়ক সংস্কারে কিছুই করেনি। এ ছাড়া রাস্তার পাশে বাসাবাড়ি, শিল্প-কারখানা স্থাপন করায় এবং পানি নিষ্কাশনের সিস্টেম না থাকায় বৃষ্টির পানিতে সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেবল সড়কই নয়, অতীতের সরকারগুলোর আমলে ব্রিজগুলোও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। আমরা যখন যেখানে যেটা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।' তিনি বলেন, 'সরকার বসে নেই, সরকার কাজ করছে। অতীতের সরকারগুলো সড়কপথের জন্য যত বরাদ্দ ও কাজ করেছে, রেলপথ ও নৌপথের জন্য তা করেনি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে রেলপথ ও নৌপথ সম্প্রসারণে কাজ শুরু করেছে। নৌপথে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে এটিকে একটি সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপও নিয়েছি।'

বিদ্যুৎ খাতে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মাত্র আড়াই বছরে বর্তমান সরকার ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। আমাদের সমালোচনা করার আগে গত সাত বছরে বিএনপি-জামায়াত এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন পারেনি তার জবাবদিহি করতে হবে।'  প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম প্রসঙ্গে বলেন, 'সাংবাদিকরা যদি গালি দিয়ে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তা লেখেন, তাহলে কিছু আসে-যায় না; কিন্তু তাদের সম্পর্কে কেউ কিছু বললে তারা ক্ষুব্ধ হন। আমরা সমালোচনা শুনতে চাই, যাতে আমাদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিতে পারি; কিন্তু এমনসব ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা হয় যেগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। সেটা সমাজের জন্যও ক্ষতিকর। সমালোচনা করা ভালো; কিন্তু সেটা যেন সঠিকভাবে করা হয়। সমালোচনা করলে সমালোচনা শোনা ও সহ্য করার মানসিকতাও থাকতে হবে।'

২০২১ সালের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি



২০২১ সালের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দ্রব্যমূল্য হ্রাস ও মহামন্দা রোধ, দুনীতি দমন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগ দিন বদলের সনদ নামে ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে৷ ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করার অঙ্গিকার করা হয়েছে৷ ২০২১ সালকে টার্গেট করে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে৷ এ প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালে অর্থাৎ ৪ বছরের মধ্যে দেশকে পুনরায় খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল করা, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, বেকারত্বের হার ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, আগামী ৫ বছরে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ৪৫ শতাংশ থেকে ২৫-এ নামিয়ে আনা, ৱাতক পর্যন্ত শিক্ষাকে সবার জন্য অবৈতনিক করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার-এই শ্লোগানের ভিত্তিতে রচিত এ ইশতেহার ভিশন-২০২১ নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণী যারা প্রথম ভোটার হয়েছেন তাদেরকে উৎসর্গ করেন৷
ইশতেহারে গভীর সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে উন্নয়ন, গণতন্ত্র, শান্তি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করা হয়৷ চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা, দ্রব্য মূল্য সন্ত্রাসী সিণ্ডিকেট ভেঙে দেয়া, বিশ্ব-মন্দা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন এবং তথ্য বিশ্লেষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার কথা ইশতেহারে বলা হয়েছে৷জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে৷ আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হবে ২০ হাজার মেগাওয়াট৷ ৩ বছর মেয়াদি ক্র্যাস প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ৮ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে৷ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করাসহ বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নাগরিক মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে৷ শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ নিশ্চিত করা, নতুন শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করে শিক্ষা-ব্যবস্থা আধুনিক, ২০১৩ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা এবং ২০১৫ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা হবে৷ ঢাকায় আরেকটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, পদ্মা সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌ পথের আধুনিকায়ন করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে৷ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতি সত্তা ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণ ও তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বাতিল করা হবে৷ সার্ক, বিমসটেকসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার এবং ইসলামিক উম্মাহর সংহতি ও ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা উন্নততর করা হবে৷ সমমর্যাদার ভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’-এই নীতির ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হবে৷
সমগ্র জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করে নতুন প্রজন্মকে সুন্দর ও সফল ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা

21 August Grenade Attacks on AL Rally