Saturday, December 10, 2011

প্রয়োজনে পদ্মা সেতু বেসরকারি খাতে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে অভিশাপমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার এদেশের মাটিতে করতেই হবে। 
এজন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, একাত্তরে এ দেশেরই সন্তান হয়ে যুদ্ধাপরাধীরা দেশের বিরুদ্ধে গাদ্দারি ও মোনাফেকি করেছে। হাজার হাজার মানুষ খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মতো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে আমরা দেশকে অভিশাপমুক্ত করতে চাই। বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল তথা এ বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে চায় দেশবাসী তাদের বিচার করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য মূলত এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রয়োজনে পদ্মা সেতু বেসরকারি খাতে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে একাত্তরের মত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ১১ ডিসেম্বর ২০১১, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪১
গতকাল শনিবার গণভবনে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের জন্য আর অপেক্ষা নয়, প্রয়োজনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের (পিপিপি) মাধ্যমে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায়, কিভাবে এবং কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে তা বিশ্বব্যাংককেই প্রমাণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন রেখে আরো বলেন, বিশ্বব্যাংক কী পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো টাকা দিয়েছে? টাকা না দিলে দুর্নীতি হলো কোথায়? পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেভাবেই হোক এ সেতু আমরা নির্মাণ করবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ রদবদল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন তো আগের যোগাযোগ মন্ত্রী নেই। তাই এবার বিশ্বব্যাংক প্রমাণ করুক কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণ, টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গ উঠে আসে।
প্রধানমন্ত্রী তার তিন দিনের মিয়ানমার সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এ সফরকালে প্রেসিডেন্ট ইউ থেয়িন সেয়িনের সাথে আন্তরিক পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বিদ্যুত্ ও জ্বালানি, সরাসরি সড়ক, আকাশ ও নৌ পথে যোগাযোগ স্থাপন, দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, শিক্ষা ও পল্লী উন্নয়ন এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয় অগ্রাধিকার পায়। এ সময় আমি মিয়ানমারকে পানি বিদ্যুত্ প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছি। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অথবা সরাসরি ক্রেতা হিসেবে সেদেশ থেকে আমরা বিদ্যুত্ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। এছাড়া বাংলাদেশে বিদ্যুত্ ও সার উত্পাদনের জন্য মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানিরও প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনাকে যথার্থভাবে সদ্ব্যবহারে দু'দেশের মধ্যে বহুমুখী যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ককে কার্যকর রূপ দিতে হলে মিয়ানমারের অংশগ্রহণ একান্তভাবে দরকার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম এবং সিতই-ইয়াংগুন বন্দরের মধ্যে সরাসরি বাস চলাচল পুনরায় চালু করার প্রস্তাবও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টকে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে এখনো অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়গুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য দু'দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া এফবিসিসিআই এবং ইউনিয়ন অব মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র মধ্যেও স্বাক্ষরিত হয়েছে একটি সমঝোতা স্মারক। এতে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মিয়ানমারের পর ইন্দোনেশিয়ায় দু'দিনের সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাত ডিসেম্বর আমি ৪র্থ বালি ডেমোক্রেসি ফোরামে অংশ নিতে যাই। বালিতে পৌঁছানোর পর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনোর সাথে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এ বৈঠককালে দু'দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ বৈঠকের প্রথম অধিবেশনে কো-চেয়ার হিসেবে আমার সভাপতিত্ব করার সুযোগ হয়। ফোরামে গণতন্ত্র ও উন্নয়নে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আলোচনার মাধ্যমে এ অঞ্চলের প্রকৃত গণতন্ত্র অর্জনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমি সাত দফা প্রস্তাব পেশ করেছি। জাতিসংঘে আমার উত্থাপিত শান্তির মডেলকে সমর্থন দেয়ার জন্যও ফোরামে অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। কারণ প্রকৃত গণতন্ত্র অর্জন একটি দীর্ঘ নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। এজন্য প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। ফোরাম শেষে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে আমি জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমি বলেছি, দারিদ্র্য বিমোচন ও নাগরিকদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে, অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের পথকে চিরতরে বন্ধ করা।
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যান। আর বিরোধী দলে গেলে তার সব মনে পড়ে। একজন (এরশাদ) আজ লংমার্চ এবং অন্যজন (খালেদা জিয়া) বিপ্লব করছেন। এরশাদ দীর্ঘ নয় বছর এবং খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তখন তারা টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ নিয়ে কোনো কথা বলেননি কেন? টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে বিরোধী দলীয় নেত্রী কী লিখেছেন এবং জবাবে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী তার কী জবাব দিয়েছেন তা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হোক এমন কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না- এ কথা আমরা ভারত সরকারকে জানিয়ে দিয়েছি। বর্তমান সরকার বিষয়টির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। আগামীতে মন্ত্রিসভায় কোনো রদবদল হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে যাব না? কেউ তো তেমন কোনো অন্যায় করেননি। গত তিন বছরে কী একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ বড় ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পেরেছে? তিনি বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের ৯০ ভাগ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯৩ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। অতীতে কোনো সরকার কী তা করতে সক্ষম হয়েছে? তাহলে বর্তমান মন্ত্রিসভা ব্যর্থ হলো কিভাবে? দেখতে হবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিনা। বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই, বরং এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছিল, কারাগারে বন্দি ছিল ২০ হাজার যুদ্ধাপরাধী। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেয়। কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। গোলাম আজমকে দেশে ফিরিয়ে আনে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করবেন, মুক্তি চাবেন-এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবাসীকে আজ এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়টির ওপর নজরদারী করছি। ভারত জানিয়েছে তারা সেখানে কাপ্তাইয়ের মতো বিদ্যুত্ সেচ প্রকল্প নির্মাণ করবে, পানি প্রবাহে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বলেন, কিন্তু ক্ষমতায় এসে প্রথম দফায় আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং এবার দু'জন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়ে সেদেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। এ সময় তিনি বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আজ যারা বিপ্লব করতে চাইছেন, ক্ষমতায় থাকতে তারা কী করেছেন? কেন কোন প্রতিবাদ করেননি?
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পদ্মা সেতু যেভাবেই হোক আমরা নির্মাণ করব। বিদেশে যারা এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে তাদেরকে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের আহ্বান জানাব। বেসরকারিভাবে যারা কাজ করতে চাইবে তারা সেতু তৈরি করে টাকা তুলে নিয়ে যাবে। এতে আমাদের একটি টাকাও লাগবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন, কোরিয়া, কাতার, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশকেই পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। আবারও আহ্বান জানাবো। সরকার টু সরকার কিংবা যে দেশ নির্মাণ করতে চাইবে সেদেশের মনোনীত কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি হতে পারে। তারা সেতু নির্মাণ করবে, সেতু পরিচালনা করে নিজেদের টাকা তুলে নিয়ে যাবে। তিনি জানান, বেসরকারিভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। সিইও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক যেসব বিদেশী কোম্পানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, সেসব কোম্পানীকে নিয়ে আমরা সেতুটি নির্মাণ করতে যাব কেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিসিসি দু'ভাগ হয়েছে, তাতে বিরোধী দলীয় নেত্রীর কী ক্ষতি হলো? এ নিয়ে এতো তার মায়াকান্নাই বা কেন? তিনি তো কখনো সিটি করপোরেশনে ভোট দিতে পারেননি। ভোটারও ছিলেন না। কেননা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ডিসিসির আওতার বাইরে। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকাকে কোন ভাগ করা হয়নি। রাজধানীর নাগরিকদের সেবা দোরগড়ায় পৌঁছে দিতে ডিসিসিকে দু'ভাগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ঐতিহ্যের রাজধানী নয়াদিল্লী সিটি করপোরেশনকে তিনভাগে বিভক্ত করায় সেখানে বিরোধী দল কী কোন লংমার্চ বা হরতাল করেছে কীনা প্রশ্ন রেখে বলেন, সেখানে বিরোধিতা নয় বরং বিরোধী দল সমর্থন দিয়েছে। কারণ এতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, দশটা হুন্ডা, বিশটা গুন্ডা-নির্বাচন ঠাণ্ডা, সেই অবস্থা এখন দেশে নেই। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি, জনগণ এখন স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করছে। একটা কেন, এখন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দুটো সিটি করপোরেশনেই বিএনপি আসুক, আমাদের কোন অসুবিধা নেই। নির্বাচনে কে জিতলো বা হারলো সে ব্যাপারে আমাদের মাথাব্যথা নেই, জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে হস্তক্ষেপ ছাড়াই ভোট দিতে পারবে সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ সকল উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন কোন ধরনের হস্তক্ষেপমুক্ত নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদাহরণ টেনে বলেন, '৭৫ পরবর্তী কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে এমন অবস্থান কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি, কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

21 August Grenade Attacks on AL Rally