প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যাদের আমরা পরাজিত করেছি, নির্বাচন করার জন্য সেই পাকিস্তানের কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি নিয়েছেন কেন- দেশবাসীর কাছে তার জবাব দিতে হবে। দেশ বেঁচে দেওয়ার কথা বলেন, টাকা নিয়ে কে দেশ বেঁচে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তানের আদালত তা প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগের গণশোভাযাত্রার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিএনপি উন্মাদ হয়ে গেছে। গত ডিসেম্বরে তারা এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তু সফল হয়নি।আবারো স্বাধীনতার মাস মার্চে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলার জনগণ তা প্রতিহত করবে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের যতই বাঁচানোর চেষ্টা করুন না কেন, এই মার্চে রাজাকারদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে নেই। বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে গড়ে তুলব।তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভোট চুরি করে বলেই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে যত নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটিতেই কারচুপি হয়নি, একটি জীবনও ক্ষয় হয়নি। এ জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর দরকার নেই। বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুট করার জন্য আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক এলে কি কোলে তুলে আপনাকে ক্ষমতায় বসাবে? গত তত্ত্বাবধায়কের অত্যাচার নির্যাতনের কথা কি ভুলে গেছেন। তারা তো আপনাকে জেলে দিয়েছে, আপনার দুই ছেলেকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছে। এবার এলে তাদের ধরে এনে জেলে দেবে। সেটা ওনার মনে রাখা উচিত। শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে যে কী অত্যাচার করেছিল, বাংলার মানুষ তা ভোলে নাই। ১৪-১৫ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। দেড় হাজার সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়েছে, ৭০০ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। তাঁরাই আবার বড় কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার উদ্দেশে 'চোরের মায়ের বড় গলা' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজাকারদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে নেই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই, গণর্যালিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না, তিনি আইএসআইয়ের দালাল: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
বুধবার | ৭ মার্চ ২০১২ | ২৪ ফাল্গুন ১৪১৮
খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না, তিনি আইএসআইয়ের দালাল: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
বুধবার | ৭ মার্চ ২০১২ | ২৪ ফাল্গুন ১৪১৮
শেখ হাসিনা আরো বলেন, 'সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীনতার চেতনায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।' তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিএনপি ভোট চুরি করে বলেই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে যত নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটিতেই কারচুপি হয়নি, একটি জীবনও ক্ষয় হয়নি। এ জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর দরকার নেই। বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুট করার জন্য আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য।'
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেছেন, "খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনতার প্রতি যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তা প্রতিহত করতেই এই সমাবেশ। তিনি বলেন, '৯১-এর নির্বাচনে আইএসআই খালেদা জিয়াকে ৫ কোটি টাকা উপহার দিয়েছিল। তিনি আইএসআইয়ের দালাল ও পেইড এজেন্ট। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না, স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করেন না।' তিনি আরো বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে তাদের পক্ষ নিয়েছেন। সরকার যাতে বিচার শেষ করতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করছেন।' সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপিকে সংসদে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'সংসদে আসুন। আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে সেটা তুলে ধরুন। সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।'
1 comment:
Appreciaate your blog post
Post a Comment